সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তরঙ্গ কি কত প্রকার অনুদৈর্ঘ্য ও অনুপ্রস্থ সব

তরঙ্গ শব্দটি আমরা বেশিভাগ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সাথে শুনেছি। তবে তরঙ্গের পরিধি আরো বিস্তর। তরঙ্গ বিষয়টি পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরত্বপূর্ন অধ্যায়। বলা হয়ে থাকে পদার্থবিজ্ঞান পড়তে নাকি অবশ্যই তরঙ্গ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হয়।

পুকুরে ঢিল ছুড়ে বা পানিতে কোনোকিছু ফেলে আমরা তরঙ্গ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারি। পানিতে যখন আমরা একটি ঢিল ছুড়ি তখন কিন্তু সেটা পাড়ে গিয়ে একটা ধাক্কা দেয়। আর এই যে পানির মাঝখানে কোনো কিছু ফেললে সেটা কুলে গিয়ে ধাক্কা দিল/আছড়ে পড়ল, এখানেই কিন্তু আমরা তরঙ্গের মৌলিক ধারণাটি পেয়ে যাই। এই আর্টিকেলে আপনি জানতে চলেছেন তরঙ্গ সম্পর্কে এমন সকল তথ্য যা অবশ্যই আপনার জানা উচিত, তরঙ্গ কাকে বলে, তরঙ্গের প্রকারভেদ, তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য, আমাদের জীবনে তরঙ্গের প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তা। এছাড়াও এই পোস্টে খোলাসা করতে চলেছি রহস্য ঘেরা চাঞ্চল্যকর কিছু প্রশ্নোত্তর। আপনি জানেন কি, তরঙ্গের কারণেই আপনি এই পোস্টটি দেখতে ও পড়তে পারছেন? পোস্টে খুঁজে দেখা যাক কেন এমন হচ্ছে!

তরঙ্গ কাকে বলে

তরঙ্গ কি?

যে প্রক্রিয়ায় কোনো মাধ্যমের ভেতর দিয়ে শক্তি স্পন্দন গতিতে স্থানান্তরিত হয় তাকে তরঙ্গ বলে।

অর্থাৎ তরঙ্গ একটি প্রক্রিয়া। আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়। গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে সঙ্গায় কিন্তু বলে দেওয়া হয়েছে শক্তি স্থানান্তরিত হতে হবে স্পন্দন গতিতে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে মাধ্যমটির তরঙ্গ পরিবাহক কণাগুলো স্পন্দিত হতে পারবে কিন্তু কোনো ভাবেই তার অবস্থান থেকে সম্পূর্ন সরে যাওয়া যাবে না। তাহলেই সেখানে তৈরি হবে একটা তরঙ্গ। এবার উদাহরণের মাধ্যমে উপরের কথাগুলোর বাস্তবিক অর্থ জেনে নেয়া যাক!

পানিতে ঢিল ছুড়লে সেখানে যে তরঙ্গ তৈরি হয় চলুন সেটাকেই প্রমাণ করা যাক। লক্ষ্য করলে দেখা যায়,

প্রথমত, পানিতে ঢিল ছোড়ার পর সেখানে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। আর এই ঢেউগুলো পাড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ঢেউগুলো পাড়ে ধাক্কা দেয়। আর এই ধাক্কা বলতে মূলত সেখানে একটা শক্তি দেয়। ঢিলের গতিশক্তিটি পানি মাধ্যমের মধ্য দিয়ে পাড়ে সেই শক্তি স্থানান্তরিত করল। তাহলে তরঙ্গ তৈরি হওয়ার জন্য প্রথম শর্তটি পূর্ন হলো।

দ্বিতীয়ত, পানির ঢেউটি স্পন্দন গতিতেই স্পন্দিত হয়।

তৃতীয়ত, ঢেউয়ের সময় পানির কণাগুলো শুধুমাত্র উপরে উঠেছে এবং নিচে নেমেছে। মোটেও তার নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে সম্পূর্ন সরে যায় নি।

তাহলে এখানে যে জিনিসটি ঘটল তাই তরঙ্গ।

তরঙ্গের ইংরেজি প্রতিশব্দ Wave.

আরো পড়ুন

কাজ কি? কাজের একক, মাত্রা, প্রকারভেদ এবং সূত্র

প্লবতা কাকে বলে এবং আর্কিমিডিসের সূত্র খুব সহজে

তরঙ্গের প্রকারভেদ

মোটা দাগে মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে তরঙ্গকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা:

  1. তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ এবং
  2. যান্ত্রিক তরঙ্গ

তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ

যে তরঙ্গ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না তাকে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ বলে।

অর্থাৎ শূন্য মাধ্যমেই এসব তরঙ্গ স্থানান্তরিত হতে পারে।

যেমন: সূর্য থেকে যখন পৃথিবীতে আলোক তরঙ্গ আসে তখন কিন্তু সেগুলো কোনো মাধ্যমের ভেতর দিয়ে আসে না! কেননা সূর্য থেকে পৃথিবীর মধ্যবর্তী জায়গাটি সম্পূর্ন ফাঁকা। সেখানে দম নেওয়ার মতো বাতাসও নেই। তাহলে এটি তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের একটি উদাহরণ। তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের মধ্যে গ্রাভিটি ওয়েভ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিজ্ঞানীরা ওয়েভ ফাংশন নামক নতুন এক প্রকারের তরঙ্গ আবিষ্কার করেন। এটির স্থানান্তরের জন্যও মাধ্যমের প্রয়োজন নেই।

যান্ত্রিক তরঙ্গ

যে তরঙ্গ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলে।

আসলে উপরে তরঙ্গের যে সঙ্গাটি দেওয়া হয়েছিল তা যান্ত্রিক তরঙ্গের জন্য সঠিক।

যেমন: শব্দ তরঙ্গ উৎস থেকে বাতাসের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছায়। তাই এটি যান্ত্রিক তরঙ্গের উদাহরণ।

যান্ত্রিক তরঙ্গের ইংরেজি প্রতিশব্দ Mechanical Wave

যান্ত্রিক তরঙ্গের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য

এতক্ষণ আমরা তরঙ্গের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে ফেলেছি। নিচে এগুলোকে সাজিয়ে উপস্থাপন করা হলো।

  • তরঙ্গ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়
  • মাধ্যমের কণাগুলো সরল স্পন্দন গতিতে স্পন্দিত হলেও নিজের জায়গা থেকে সম্পূর্ন সরে যায় না
  • তরঙ্গ নির্দিষ্ট একটা বেগে চলতে থাকে
  • তরঙ্গ প্রতিবন্ধক পৃষ্ঠে প্রতিফলিত এবং প্রতিসরিত হয়
  • তরঙ্গের উপরিপাতন হয়
  • তরঙ্গের ভেতর দিয়ে শক্তি অথবা তথ্য স্থানান্তরিত হয়।

সরল ছন্দিত তরঙ্গ

তরঙ্গ চলাচলের সময় মাধ্যমের কণাগুলো যদি সরল ছন্দিত স্পন্দন গতিতে স্পন্দিত হয় তবে তাকে সরল ছন্দিত তরঙ্গ বলে।

সরল ছন্দিত তরঙ্গ মূলত যান্ত্রিক তরঙ্গেরই একটি বিশেষ রূপ। সরল ছন্দিত তরঙ্গ দুই ধরনের। যথা:

  1. অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ এবং
  2. অনুপ্রস্থ তরঙ্গ

নিচে এগুলোর বর্ণনা দেওয়া হলো

অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ কাকে বলে?

যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের দিকের সাথে সমান্তরালে অগ্রসর হয়, সেই তরঙ্গকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে

যেমন: স্প্রিং এর তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ। কেননা স্প্রিং এর যখন সংকোচন ও প্রসারণ হয়, তখন শক্তি স্প্রিং এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যায়। স্প্রিং যখন সংকুচিত ও প্রসারিত হয় তখন স্প্রিং সংকোচন প্রসারণের মধ্য দিয়ে শক্তি স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ শক্তি স্প্রিংয়ের স্পন্দনের দিকেই যাচ্ছে বা সমান্তরালে যাচ্ছে। কথাগুলো না বুঝলে আরো কয়েকবার মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ইনশাআল্লাহ সহজ বিষয়টি বুঝে যাবেন।

অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গকে অনেকসময় লম্বিক তরঙ্গও বলা হয়। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Longitudinal Wave.

অনুপ্রস্থ তরঙ্গ কাকে বলে?

যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের দিকের সাথে সমকোণে অগ্রসর হয় তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে।

যেমন: টান করে রাখা দড়িতে ঝাঁকুনি দিলে সেখানে যে তরঙ্গ তৈরি হয় সেটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ। কেননা, দড়িতে ঝাঁকুনি দিলে দড়িটি উপরে নিচে স্পন্দিত হতে থাকে। কিন্তু শক্তি এক্ষেত্রে চলে যায় দড়ি বরাবর। অর্থাৎ কম্পনের সাথে ৯০° কোন করে চলে যায়। তাই এটি অণুপ্রস্থ তরঙ্গ।

অনুপ্রস্থ তরঙ্গের আরেক নাম আড় তরঙ্গ

এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Transverse Wave.

আমরা প্রথমে আপনাদের মাঝে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলাম মনে আছে তার কথা!

আসলে আমরা এই পোস্টটি দেখতে পাচ্ছি তরঙ্গের কারণেই। প্রথমে আপনার ডিভাইসের স্ক্রিনটি আলোক তরঙ্গ বিকিরণ করছে। সেটি আবার বাতাসের মধ্যে দিয়ে আমদের চোখে আসে। তারপরই কেবল আমরা দেখতে পাই।

যাইহোক আজ এই পর্যন্তই।আশা করি আপনারা বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। বিষয়টি আসলে অনেক সহজ। তবে অনেক শিক্ষার্থী বিষয়টিকে জটিল করে ফেলে। আপনাদের একবার পড়ে বুঝতে অসুবিধা হলে কষ্ট করে আরেকবার পড়ে নিন, সহজেই বুঝে যাবেন। আর এবিষয়ে কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই কমেন্টে লিখে জানান। ইনশাল্লাহ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। ভালো লাগল বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারো। এরকম আরো তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট পেতে ঘুরে দেখতে পারেন পুরো সাইট।

আমরা ভালো থাকবো - দেশকে ভালো রাখবো

আসসালমুআলাইকুম।

তরঙ্গ কাকে বলে?

যে প্রক্রিয়ায় কোনো মাধ্যমের ভেতর দিয়ে শক্তি স্পন্দন গতিতে স্থানান্তরিত হয় তাকে তরঙ্গ বলে।

তরঙ্গ কত প্রকার ও কি কি?

সরল ছন্দিত তরঙ্গ দুই প্রকার। যথা: ১.অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ ২.অনুপ্রস্থ তরঙ্গ

কোন তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলোর সাথে সমকোণে অগ্রসর হয়?

অনুপ্রস্থ তরঙ্গ

মন্তব্যসমূহ

Most Popular

ক্ষমতা কি, ক্ষমতার একক, মাত্রা, উদাহরণ এবং সূত্র

 ক্ষমতা কি? দৈনন্দিন জীবনে ক্ষমতা শব্দটির নানাবিধ অর্থ থাকতে পারে। কিন্তু এখানে ক্ষমতার ব্যাখ্যা শুধুমাত্র পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেওয়া হয়েছে। তাই এই পথে তোমরা পদার্থবিজ্ঞানে ক্ষমতার যে সুনির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে তা জানতে পারবে। ক্ষমতার সঙ্গা: কোনো একটি বস্তু একক সময়ে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে তাকে ক্ষমতা বলে। (এখানে বস্তুটি কোনো ব্যক্তি বা যন্ত্রও হতে পারে।) অর্থাৎ ক্ষমতা হলো কাজ করার হার। আরো সহজ করে বলা যায়, একক সময়ে কৃৎকাজই ক্ষমতা। বল কি এবং কত প্রকার সহজ ব্যাখ্যা ও উদাহরণসহ এক্সক্লুসিভ কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করতে পারো। ক্ষমতা নির্ণয়ের সূত্র: আমরা জানি শক্তির কোনো ধ্বংস নেই। শক্তি কেবলমাত্র কাজের দ্বারা এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়। যেহেতু এই কাজ করার হার-ই ক্ষমতা। কাজেই আমরা ক্ষমতা বলতে কাজ করার হার এর বদলে শক্তির রূপান্তরের হার বলতে পারি। অর্থাৎ, যদি t সময়ে W কাজ সম্পন্ন হয় তাহলে ক্ষমতা, P = W/t অতএব, যদি 5 সেকেন্ডে 10j কাজ সম্পন্ন হয় তাহলে ক্ষমতা, P = 10/5 =2W ক্ষমতা সম্পর্কিত গাণিতিক সমস্যা সমাধান: একটি উদাহরণের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতা ...

সংকেত কাকে বলে, সংকেত লেখার নিয়ম এবং উদাহরণ

সংকেত কাকে বলে? সংকেত শব্দটি রসায়নে একটি সুনির্দিষ্ট অর্থ বহন করে। বাস্তব জীবনে সংকেত শব্দটি আমরা বিভিন্ন ভাবে ব্যাবহার করলেও এখানে 'সংকেত' শব্দটি রসায়নের আলোকে বর্ণনা করা হয়েছে। সংকেতের সঙ্গা: কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অনুর সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় সংকেত। আমরা জানি, প্রতিটি পদার্থ অজস্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরমাণুর দ্বারা গঠিত। আর দুই বা দুইয়ের অধিক পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে গঠন করে অনু। এই অনুই হচ্ছে পদার্থের নির্দিষ্ট ধর্মের একক রূপ। রসায়ন চর্চার সময় আমরা পদার্থের ধর্মের একক রূপকে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করি। যা সংকেত নামে পরিচিত। সংকেতের উদাহরণ: আমরা যদি হাইড্রোজেন গ্যাসকে রাসায়নিকভাবে প্রকাশ করতে চাই তবে হাইড্রোজেন অনুর দ্বারা প্রকাশ করতে হবে। দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু মিলে একটি হাইড্রোজেন অনু গঠিত হয়। অর্থাৎ এখন হাইড্রোজেনের অনুকে আমরা এভাবে লিখতে পারি : H 2 । আর এটি যেহেতু হাইড্রোজেন অনুকে সংক্ষিপ্ত রূপে প্রকাশ করে তাই H 2 -ই হলো হাইড্রোজেনের সংকেত। এরকম আরো কয়েকটি মৌল বা যৌগের সংকেত নিচে দেওয়া হলো: সালফিউরিক এসিডের সংকেত — H 2 SO 4 অক্সিজেন গ্যাসের সংকেত — O ...

কাজ কি? কাজের একক, মাত্রা, প্রকারভেদ এবং সূত্র

 কাজ কি? এই প্রশ্নটি নির্বাচন করা হয়েছে এসএসসি পদার্থ বিজ্ঞান বই থেকে। তাই কাজ কি এই টপিকটি সম্পর্কে এখানে আমরা যা তুলে ধরেছি তার সবই পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে। কাজের সংজ্ঞা: কোন বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করে বস্তুর সরণ ঘটানোকেই কাজ বলে। অর্থাৎ প্রথমত বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করতে হবে এবং এরপর যদি বল প্রয়োগের ফলে বস্তুর সরণ হয় তবে সেখানে কাজ সম্পন্ন হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তুমি যদি একটা ফুটবলকে লাথি দাও এবং এরপর যদি ফুটবলটা তোমার লাথির কারণে কিছুটা অগ্রসর হয় তবে তুমি কাজ করেছ। কারণ প্রথমত তুমি লাথির মাধ্যমে ফুটবলটার ওপর বল প্রয়োগ করলে এবং সেই বলের কারণে ফুটবলটা তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে। অর্থাৎ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আবার এই একই লাথি যদি তুমি কোন দেয়ালে গিয়ে মারো এবং দেওয়ালের যদি অবস্থানের পরিবর্তন না হয় তবে সেখানে কিন্তু কোন কাজ সম্পন্ন হয়নি। অর্থাৎ মূল কথা হচ্ছে কাজ সম্পন্ন করতে হলে অবশ্যই বল প্রয়োগ করতে হবে এবং সরণ ঘটতে হবে। এ দুটির কোনটির একটি অনুপস্থিত থাকলে কাজ সম্পন্ন হয় না। যদিও এসব শর্ত দৈনন্দিন জীবনে কাউকে দিলে সে তা মানবে না। আরো পড়োঃ ক্ষমতা কি, ক্ষমতার এক...